অ-নবায়নযোগ্য শক্তি হল সেই শক্তি যা পুনরুদ্ধারযোগ্য নয় এবং যেগুলি ব্যবহারের পর পুনরায় প্রাপ্ত করা যায় না। এই ধরনের শক্তির উৎসগুলি সাধারণত প্রাকৃতিক ভাবে সীমিত এবং একবার ব্যবহার হলে তা শেষ হয়ে যায়।
অ-নবায়নযোগ্য শক্তির কিছু সাধারণ উদাহরণ হলো:
১. জীবাশ্ম জ্বালানি
- কয়লা: এটি একটি প্রাকৃতিক শক্তি উৎস যা কয়লা খনন করে পাওয়া যায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপ উৎপাদন এবং শিল্প প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
- তেল: পেট্রোলিয়াম বা অপরিশোধিত তেল, যানবাহন চলাচল, তাপীকরণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- প্রাকৃতিক গ্যাস: এটি একটি ক্লিনার জীবাশ্ম জ্বালানি যা রান্না, তাপীকরণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. পরমাণু শক্তি
- ইউরেনিয়াম: এটি একটি অ-নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস যা পরমাণু চুল্লিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। পরমাণু শক্তির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ইউরেনিয়ামের পরমাণুর বিভাজন ঘটানো হয়।
৩. অঙ্গীভূত শক্তি
- ফসফেট এবং সল্ফার: কিছু রাসায়নিক জ্বালানির প্রকারভেদ, যা শিল্পে শক্তি উৎপাদন বা অন্যান্য প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়, সেগুলিও অ-নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস।
৪. তরল গ্যাস
- এলপিজি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস): রান্না এবং তাপীকরণে ব্যবহৃত তরল গ্যাস যা জীবাশ্ম উৎস থেকে প্রাপ্ত হয়।
অ-নবায়নযোগ্য শক্তির কিছু বৈশিষ্ট্য:
- সীমিত উপলব্ধতা: এই শক্তির উৎসগুলি সীমিত এবং সময়ের সাথে সাথে ব্যবহারের কারণে সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।
- পরিবেশগত প্রভাব: অ-নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের ফলে বায়ু এবং জল দূষণ, কার্বন নিঃসরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মত সমস্যাগুলি সৃষ্টি হয়।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: জীবাশ্ম জ্বালানির দাম বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।