অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, এবং মানবাধিকার কর্মী। তিনি তার অসাধারণ অভিনয় প্রতিভার জন্য পরিচিত, বিশেষ করে "মিসটার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ," "ট্রেইনস্পটিং," এবং "মালেফিসেন্ট" চলচ্চিত্রগুলোর জন্য। জোলি দুইবার অস্কার পুরস্কারও জিতেছেন। তিনি তার মানবিক কাজের জন্যও প্রসিদ্ধ, বিশেষ করে শরণার্থীদের অধিকার ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমানোর জন্য।
প্রথমিক জীবন
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রথম জীবন ৪ জুন, ১৯৭৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়ায় শুরু হয়। তার মা, মার্শেলিন বেরট্রান্ড, একজন অভিনেত্রী এবং তার বাবা, জন ভয়েট, একজন অভিনেতা। জোলির বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পরে, তিনি তার মায়ের সঙ্গে বড় হয়েছেন।
জোলি ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং ১১ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনের একটি সিরিজে অভিনয় করেন। তিনি "লিজি ম্যাকগায়ার" শোতে অতিথি চরিত্র হিসেবে কাজ করেন। তার অভিনয় জীবনের প্রথম বড় সুযোগ আসে ১৯৯৫ সালে "হ্যাকার্স" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যেখানে তিনি একজন কম্পিউটার হ্যাকার হিসেবে অভিনয় করেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার শৈশবকালে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা। তবে, তিনি সৃজনশীলতা এবং অভিনয়ের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করেন এবং পরবর্তীতে একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
সিনেমায় আগমন
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সিনেমায় আগমন ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে ঘটে, যখন তিনি টেলিভিশন ও সিনেমায় ছোটখাটো ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম উল্লেখযোগ্য সিনেমা ছিল "হ্যাকার্স" (১৯৯৫), যেখানে তিনি একটি কম্পিউটার হ্যাকার চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমার মাধ্যমে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেন।
জোলির কেরিয়ার আসলেই পাল্টে যায় "গিরলস ইন ইনসায়ড" (১৯৯৯) সিনেমার মাধ্যমে, যেখানে তিনি একটি ম্যানিক ডিপ্রেসিভ যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই ভূমিকায় সেরা সহায়ক অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। এই সফলতার পর তিনি "মিসেস স্মিথ" (২০০৫), "সাল্ট" (২০১০) এবং "মালেফিসেন্ট" (২০১৪) এর মতো অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় কাজ করেন।
জোলি তার অভিনয় ক্যারিয়ারের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন এবং "প্রেশাস" (২০০৯) এবং "অইল বোন" (২০১১) এর মতো সিনেমা নির্মাণ করেন, যা অনেক প্রশংসা পায়।